কমলাপুর রেল ষ্টেশন
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ঢাকার শহুরে অবস্থা বৃদ্ধি পায়, এবং এর অর্থনীতিও বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে ১৯৪৭ সালের পর, যখন এটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী হয়। বিদ্যমান রেলপথগুলো উত্তরের দিকে প্রসারিত হয়ে ঢাকাকে পুরনো ও নতুন শহরে দ্বিখণ্ডিত করে, এবং এই রেলপথগুলো বিভিন্ন স্থানে সড়কের সাথে মিলিত হওয়ায় উত্তর-দক্ষিণের সড়ক যানবাহনের প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও ঢাকার উত্তর দিকে অবস্থিত ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি ছিল অপূর্ণাঙ্গ, যাতে একটি প্ল্যাটফর্ম, একটি ছোট প্রাঙ্গণ ও একটি লোকোমোটিভ শেড ছিল। ধারণা করা হয়, স্টেশনটিকে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে স্থানান্তর করলে তেমন কোনো বাঁধা ছাড়াই উত্তর-দক্ষিণের যানবাহনের প্রবাহ সহজ হবে, এবং পুরনো ও নতুন ঢাকা শহরও একত্রিত হবে। ১৯৪৮ সালে বিশেষজ্ঞরা স্টেশনটিকে কমলাপুরে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। ১০ বছর পর ১৯৫৮ সালে প্রাদেশিক সরকার পরিকল্পনাটি কার্যকর করার দায়িত্ব অর্পণ করে।[২] তেজগাঁও থেকে রেলপথের গতিমুখ পরিবর্তন করে খিলগাঁও, এবং এরপর কমলাপুর পর্যন্ত নেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালের ২৭শে এপ্রিল স্টেশনটি উদ্বোধন করা হয়।
তথ্য সুত্রঃ ইউকিপিডিয়া